দেশপ্রেম-সম্প্রীতি-উন্নয়ন,আমার পাহাড়-আমার জীবন” এই শ্লোগানে বর্ণাঢ্য র্যালি কেক কাটা ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে খাগড়াছড়িতে পালিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সূচনা হয়।
র্যালি শেষে, খাগড়াছড়ি জেলা নাগরিক পরিষদের সাধারন সম্পাদক লোকমান হোসেন এর সঞ্চালনায় ও সভাপতি আব্দুল মজিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মজিবুর রহমান এবং প্রধান বক্তা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মহাসচিব আলমগীর কবির।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, শেখ আহম্মদ রানা, আবু তাহের, কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উল্লাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমা আহম্মেদ মৌ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদা বেগম সহ জেলা নাগরিক পরিষদ, ছাত্র পরিষদ ও মহিলা পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সময় বক্তারা বলেন, রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে ৩০ হাজার বাঙ্গালীর খুনী সন্তু লারমা, এখন তার স্ব-জাতিরাও খুনী সন্তু লারমা ও প্রসিদ খিসার দল ইউপিডিএফ ও জেএসএস এর নিকট নিরাপদ নয়, অতিসত্বর খুনের দায়ে খুনী সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ ও তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ফাঁসি কার্যকর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অতিদ্রুত প্রত্যাহার কৃত সকল সেনা- ক্যাম্প পূনঃস্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেনাবাহিনী, র্্যাব, বিজিবি, পুলিশ বাহিনীর যৌথ চিরুনী অভিযানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।
পার্বত্য চুক্তির পূর্বশর্ত ছিলো পাহাড়ে কোন অবৈধ অস্ত্র থাকবেনা, যেহেতু খুনী সন্তু লারমা অস্ত্রের ঝনঝনানি ও খুনের মাধ্যমে চুক্তি ভঙ্গ করেছে তা-ই অচিরেই এই চুক্তির পুনঃমূল্যায়ন করে সকল জাতি গোষ্ঠীর সম-অধিকার নিশ্চিত করা হউক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।